দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী নতুন বছরের শুরুতেই বই পায়নি। কোনো কোনো স্কুলে প্রাথমিকের কিছু বই পেলেও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা বই পায়নি। সহপাঠীরা কেউ পেয়েছে আবার কেউ পায়নি। কবে সবাই বই পাবে সেটিও জানে না তারা। এতে শিক্ষার্থীদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীসহ দেশের অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের কাছে বই বিতরণ শুরুই হয়নি। রাজধানীর মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজে বই বিতরণ আগামী রোববার থেকে শুরু হবে। যদিও এই স্কুলের প্রথম থেকে তৃতীয় ও দশম শ্রেণির কিছু বই এসেছে। রোববার বই বিতরণ শুরু হলেও সব শিক্ষার্থী বই পাবে না।
জানা যায়, নতুন শিক্ষাবর্ষে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি শিক্ষার্থীর জন্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে প্রায় ৪১ কোটি পাঠ্যবই প্রয়োজন। এর মধ্যে মাত্র ৬ কোটি পাঠ্যবই বিতরণ করা হয়েছে। এ কারণে অধিকাংশ শিক্ষার্থী বই পায়নি। স্কুলে গিয়ে কেউ কেউ খুশি হলেও, বেশির ভাগ শিক্ষার্থী হয়েছে হতাশ। রাজনৈতিক পটপরিবর্তন, নতুন শিক্ষাক্রম পরিবর্তন করে পুরোনো শিক্ষাক্রমে ৬৯১টি পাঠ্যবই পরিমার্জন, পাণ্ডুলিপি তৈরি করতে বিলম্ব ও তিন মাস দেরিতে পাঠ্যবই ছাপার কার্যক্রম শুরু করার কারণে সবার হাতে সব বই পৌঁছাতে মার্চ পর্যন্ত লাগতে পারে বলে জানা গেছে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) পরিকল্পনা ছিল, বছরের প্রথম দিন সব শ্রেণির শিক্ষার্থীর হাতে অন্তত তিনটি করে নতুন বই (বাংলা, ইংরেজি ও গণিত) দিয়ে শিক্ষাবর্ষ শুরু করার। কিন্তু সেটিও সম্ভব হয়নি। সব পাঠ্যবই কবে নাগাদ শিক্ষার্থীদের দেওয়া যাবে, তার প্রতিশ্রুতি দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। একই সঙ্গে বছরের প্রথম দিন সব শিক্ষার্থীর হাতে পাঠ্যবই পৌঁছাতে না পেরে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।